ছাতিয়াইন গ্রামের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের জনক এডভোকেট কামিনী কুমার চন্দ্র।তিনি ১৮৬২ সালে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ১৮৮৬ সালে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে এম.এ পাশ করেন। ১৮৮৮ সালে বি.এল পাশ করে শিলচরে ওকালতি শুরু করেন। অল্পকালের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ আইনজীবি হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। ১৮৯০ সালে কাছাড়ের বালাধন মামলায় এবং ১৮৯৯ সালে ভানুগাছ প্রজাবিদ্রোহের মামলায় আসামী পক্ষ অবলম্বন করে সমগ্র ভারতবর্ষে জুড়ে বিজয়ের প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি স্বদেশী আন্দোলনে স্বক্রিয় অংশগ্রহন করেন। ১৯০৬ সালে সিলেটে রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯২০ সালে কলিকাতা কংগ্রেসের অভ্যর্থনা কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। আসাম সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় আইন সভায় যোগদান করেন। শিলচরে তিনি বহু জনহিতকর কাজ করে গেছেন। তেজস্বী জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তিনি তাঁর নিজ গ্রাম ছাতিয়াইনকে সারা ভারতবর্ষে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর ছেলেরা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। তাঁর বড় ছেলে অনিল কুমার চন্দ্র ভারত সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ছোট ছেলে অরুন কুমার চন্দ্র আসাম আইন সভার কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার ছিলেন। তিনি ১৯৩৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে শিলচর গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। সিলেট এম সি কলেজকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত করার আন্দোলন করে সফল হন। তিনি ইংল্যান্ডে গেলে বৃটিশ মন্ত্রীরা ছাতিয়াইনের কামিনী বাবু নামে সম্বোধন করতেন। তাঁর প্রচেষ্ঠায় ছাতিয়াইন বাজার এবং ছাতিয়াইন রেল ষ্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।তিনি বিভিন্ন সড়ক প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান রাখেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস